Waqf Bill News: মাঝরাতে পাশ ওয়াকফ বিল! এই বিল আসলে কী? আগে কী ছিল, এখন কী হবে? বিরোধিতাই বা কেন! সহজে জানুন পুরোটা
waqf amendment bill 2025 – ওয়াকফ বলতে কি বোঝায়?
ওয়াকফ – শব্দটির আক্ষরিক অর্থে “বন্দীত্ব এবং নিষিদ্ধকরণ” বা কোনও জিনিসকে থামানো বা স্থির করা। ইমাম আবু হানিফার মতে ওয়াকফের বৈধ অর্থ ওয়াকফের মালিকানাধীন একটি নির্দিষ্ট জিনিস এবং তার সম্পদকে “দরিদ্রতা বা অন্যান্য ভাল বস্তুর দাতব্যতায়” নিবেদিত করা।

WAQF Amendment Bill 2025 | WAQF Amendment Bill | WAQF Bill | WAQF Board
লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, নতুন আইন হলে ওয়াকফ নিয়ে দুর্নীতি দূর হবে। দেশের মুসলিমরাই আসলে উপকৃত হবেন।

বুধবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পেশ করেছিলেন লোকসভায়। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পর অবশেষে তা পাশ হয়ে গেল। বিলের পক্ষে ভোট দেন ২৮৮ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩২।
ইতিমধ্যে যাদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে আবার নতুন করে চাকরি পরীক্ষায় বসতে পারবেন সে বিষয়ে এখনো সংশয় রয়েছে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন – Click Here
SSC 2016 CANCEL PANEL LIST PDF | DOWNLOAD NOW |
বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা সম্পত্তি বা জমিতে কোনও রকম সরকারি পর্যালোচনা করা যায় না। পর্যালোচনা ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ড জমি দখল করতে পারে। কোনও সম্পত্তি নিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা এবং ওয়াকফ বোর্ডের আইনি বিবাদ চললেও তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার।

কিন্তু কী এই ওয়াকফ? আসলে মুসলিমরা তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ ধর্মীয় কাজকর্মে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য দান করে থাকেন। খুব সহজ করে বললে এটাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তির আয় থেকে মসজিদের খরচ চালানো হতে পারে, শিক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারে, অনাথদের সাহায্য করা হতে পারে। আর ওইসব সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্যই রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।
সরকার এই আইনেই মূলত বদল আনছে। বিতর্কিত কোনও সম্পত্তির মালিকানা আদতে কার, তাও খতিয়ে দেখার আইনি এক্তিয়ার সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে চাইছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার থাকবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।

আসলে ওয়াকফ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল, সম্পত্তির দেখাভাল ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জনসাধারণ। অন্যটি হল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেওয়া হল তবে তার দেখাভাল করবেন সম্পত্তি দানকারীই। পুরনো আইনেই তা বলা রয়েছে। তা এবার সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। গোটা দেশে মোট ৮.৭ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় রেল ও সেনাবাহিনীর পরই দেশে ওয়াকফের বেশি সম্পত্তি রয়েছে।
ওয়াকফ ঘোষণার আগে মহিলাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি দান করে দিতে হবে। এর মধ্যে বিধবা, বিবাহবিচ্ছিন্না এবং অনাথ মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্ম পালনকারী মুসলিমরাই একমাত্র তাদের সম্পত্তি ওয়াকফ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতির বদল।

নতুন আইন হলে কী কী পরিবর্তন আসবে? প্রথমত, ওয়াকফ থেকে ট্রাস্টকে পৃথক করা- মুসলিমদের তৈরি কোনও ট্রাস্ট কোনও আইনে ওয়াকফ বলে বিবেচ্য হবে না। ট্রাস্টের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম হবে।

WAQF Amendment Bill 2025 – ওয়াকফ সম্পত্তির বর্ণনা থাকবে একটি সেন্ট্রালাইজড পোর্টালে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে ২ জন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকবেন। এবং অবশ্যই যে কোনও সম্পত্তিতে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করা যাবে না।কোনও সরকারি সম্পত্তি যদি কেউ ওয়াকফ বলে দাবি করেন, তাহলে তার তদন্ত করতে পারবেন কালেক্টরের উপরের ব়্যাঙ্কের কোনও অফিসার। ওয়াকফ সম্পত্তির আয় যদি ১ লাখ টাকার উপরে হয়, তাহলে সেই আয়ের অডিট করাতে হবে। ওই অডিট করবেন রাজ্যের অডিটররা।

কিন্তু কেন এত বিরোধিতা নতুন বিলের? বিরোধীদের দাবি, ওয়াকফ আইন সংশোধন করার মাধ্যমে সরকার ওই সম্পত্তি কব্জা করতে চাইছে। মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ কাঠামোয় আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশাধিকার নিয়েও এক শ্রেণির মুসলিমদের আপত্তি রয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী বিল | ওয়াকফ সংশোধনী বিল 2025 | ওয়াকফ সংশোধনী বিল 2025 কি | ওয়াকফ সংশোধনী বিল 2024
ওয়াকফ বোর্ড আইন কি?
ওয়াকফ বোর্ড হল ইসলামী আইনের অধীনে ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে নিবেদিত ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী একটি আইনী সত্তা। ওয়াকফ বোর্ড সম্পর্কে আরও জানতে পড়তে থাকুন। কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিল উত্থাপন করতে পারে এমন খবরের পরে ওয়াকফ বোর্ড আবার আলোচনায়।
পুনরায় যোগ্যতা নির্ধারণে সুপ্রিমকোর্ট কি বলল ? |
Details Here…
ওয়াকফ বিল কি?
ওয়াকফ বলতে মুসলিম আইনের অধীনে ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের নামে দান করা সম্পত্তিকে বোঝায়। এই সম্পত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং জমির মালিকানা। এগুলি রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বিক্রি বা হস্তান্তর করা যায় না।
ওয়াকফ বোর্ডের কাজ কি?
রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড
ওয়াকফ আইন, ১৯৫৪-এর ধারা ৯(১) এর বিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারগুলো রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি প্রতিষ্ঠা করে। এগুলো জেলা ওয়াকফ কমিটি, মন্ডল ওয়াকফ কমিটি ও পৃথক ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের জন্য কমিটি গঠন করে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষার জন্য কাজ করে।
ওয়াকফ বোর্ড মানে কি?
ওয়াকফ সম্পত্তির যাদের দায়িত্বে থাকে, আইনি ভাষায় তারাই ওয়াকফ বোর্ড। ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল। দেশ জুড়ে ওয়াকফ বোর্ডগুলি এই কাউন্সিলের নজরদারিতে চলে। সম্পত্তি নিয়ে ওয়াকফ বোর্ড ছাড়াও রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও সম্পত্তির বিষয়ে কথা বলে এই কাউন্সিল।
পশ্চিমবঙ্গে কয়টি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে?
উত্তরপ্রদেশের পরে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান এর পরেই। বাংলায় ওয়াকফ বোর্ডের ৮০,৪৮০টি সম্পত্তি রয়েছে। একইভাবে, তামিলনাড়ুতে ৬০,২২৩টি, কর্ণাটকে ৫৮,৫৭৮টি এবং পাঞ্জাবে ওয়াকফ বোর্ডের ৫৮,৬০৮টি সম্পত্তি রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে কয়টি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে?
উত্তরপ্রদেশের পরে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান এর পরেই। বাংলায় ওয়াকফ বোর্ডের ৮০,৪৮০টি সম্পত্তি রয়েছে। একইভাবে, তামিলনাড়ুতে ৬০,২২৩টি, কর্ণাটকে ৫৮,৫৭৮টি এবং পাঞ্জাবে ওয়াকফ বোর্ডের ৫৮,৬০৮টি সম্পত্তি রয়েছে।